২০১৬ সাল থেকে আপনার এবং শাকরেদদের সম্পত্তি কত হয়েছে হিসাব চাইবো : ঘোষনা জেলা সম্পাদকের

28th September 2021 8:13 pm বর্ধমান
২০১৬ সাল থেকে আপনার এবং শাকরেদদের সম্পত্তি কত হয়েছে হিসাব চাইবো : ঘোষনা জেলা সম্পাদকের


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কাটোয়া ) : তাড়াতাড়ি সংযত হয়ে যান । ২০১৬ সাল থেকে আপনার ও আপনার শাকরেদদের সম্পত্তির পরিমাণ কত হয়েছে হিসাব চাইবো । আগাপাস্তালা দুর্নীতিতে ডুবে আছে । পুরানো তৃণমূল কর্মীদের কোনো অপমান সহ‍্য করবো না । ভরা সভা মঞ্চ থেকে নাম না করেই দলের নেতাকে হুঁশিয়ারী দিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সম্পাদক অরিন্দম ব‍্যানার্জী । অনেকেই বলছেন তাঁর নিশানায় জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় । যদিও অরিন্দম ব‍্যানার্জী একবার ও নাম কারো উচ্চারণ করেন নি । অনুব্রত মন্ডলের অনুগামী অরিন্দম ব‍্যানার্জী । মঙ্গলবার কাটোয়ার রবীন্দ্র ভবনে পুরানো তৃণমূল কর্মীদের সম্বর্ধনা সভার আয়োজন করেন তিনি । ১৯৯৮ সাল থেকে যারা তৃণমূল করছে তাদের পিছনে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ । কোনো সম্মান দেওয়া হয় না । দলের কর্মসূচীতেও ডাকা হয় না । সভা মঞ্চ থেকে জেলা সম্পাদক বলেন " যারা কংগ্ৰেস করতো তারা এখন সামনের সারিতে , মঞ্চে বসছে । আর যারা ১৯৯৮ সাল থেকে দিদি র সাথে তৃণমূল টাই করে আসছে তাদের জায়গা মঞ্চের নীচে দূরে । এসব বরদাস্ত করা হবে না । " এরপরেই তিনি নাম না করে " হরিদাস পাল " বলে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন ‌ । যদিও সাংবাদিক দের প্রশ্নের উত্তরে কে হরিদাস পাল তার নাম বলেননি জেলা সম্পাদক । তবে বর্তমানে যাদের হাতে দায়িত্ব তারাই যে অসম্মান করছে সেটা স্পষ্ট করে বলেছেন জেলা সম্পাদক । বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি হয়েছেন কাটোয়ার বিধায়ক প্রাক্তন কংগ্ৰেস নেতা রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় । তাঁকেই কি নিশানা করলেন জেলা সম্পাদক চলছে আলোচনা । তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ‍্যে কাটোয়ায় । ঐক‍্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়েছেন অরিন্দম ব‍্যানার্জী । নতুন করে লড়াই এর আহ্বান জানিয়েছেন পুরানো তৃণমূল কর্মীদের ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।